https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

অষ্টাধ্যায়ী ও মহাভাষ্যে মূর্তিপূজা ! জানুন প্রকৃত তাৎপর্য

Sunday, April 23, 2023

 


দাবি– প্রতিকৃতির বা মূর্তির অর্থে পাণিনীর অষ্টাধ্যায়ীতে প্রতিমার উল্লেখ রয়েছে।

সমাধান– আগে 'পাণিনি' বানান ঠিক করে লেখো৷ তারপর নাহয় অষ্টাধ্যায়ীতে প্রতিমা খুঁজতে এসো। আবার, তোমাদের দাবির মধ্যেই ভুল রয়েছে৷ তোমরা দাবি করছো, প্রতিকৃতি বা মূর্তি অর্থে অষ্টাধ্যায়ীতে প্রতিমার উল্লেখ আছে৷ অর্থাৎ তোমাদের এই কথা অনুসারে বোঝাচ্ছে, অষ্টাধ্যায়ীতে 'প্রতিমা' শব্দটি আছে, যার দ্বারা মূর্তি  বা প্রতিকৃতি বোঝায়৷ কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, অষ্টাধ্যায়ীর কোনো সূত্রেই 'প্রতিমা' শব্দটির উল্লেখ নাই৷ তাই ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত যেভাবেই হোক না কেন, এভাবে ভাষাগত ভুলের মাধ্যমে বিভ্রান্ত ছড়ানো তোমাদের নৈমিত্তিক কর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।



দাবি– অষ্টাধ্যায়ীর ৫।৩।৯৬ সূত্রে বলা হয়েছে, "ইবে প্রতিকৃতৌ"।
অনুবাদ: 'ইব' এর অর্থে বিদ্যমান প্রাতিপাদিকের পর 'কন্' প্রত্যয় হয়।
যেমন: অশ্ব ইব প্রতিকৃতিঃ = অশ্বকঃ (অর্থাৎ অশ্বের প্রতিকৃতি বা মূর্তি।)
এই মূর্তিগুলো কেউ কেউ বিক্রয় করতেন আবার কতকগুলো মূর্তি বিক্রি না করে পূজায় ব্যবহৃত হত বলেও পাণিনী [শুদ্ধ– পাণিনি] উল্লেখ করেছেন, "জীবিকার্থে চাপণ্যে'' (অষ্টাধ্যায়ী ৫।৩।৯৯)
অর্থাৎ জীবিকার জন্য কিন্তু বিক্রির অযোগ্য অর্থ বুঝালে "ক" প্রত্যয়ের লুক্ [শুদ্ধ– লুপ্] হয়।


সমাধান– প্রদত্ত সূত্রগুলো 'কন্' প্রত্যয়ের ব্যবহার প্রসঙ্গে উদ্ধৃত করা হয়েছে৷ উক্ত স্থানের সূত্রগুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনা করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। 


• ইবে প্রতিকৃতৌ। (৫।৩।৯৬)
অনুবৃত্তিসহ এই সূত্রের অর্থ হলো– প্রতিকৃতি বিষয়ে ইব অর্থে বর্তমান প্রাতিপদিকের পর 'কন্' প্রত্যয় হয়৷
যেমন– অশ্ব ইব প্রতিকৃতি (অশ্বের ন্যায় প্রতিকৃতি) = অশ্বকঃ (অশ্ব + কন্)
উষ্ট্র ইব প্রতিকৃতি (উটের ন্যায় প্রতিকৃতি) = উষ্ট্রক (উষ্ট্র + কন্)
গর্দভ ইব প্রতিকৃতি (গর্দভের ন্যায় প্রতিকৃতি) = গর্দভকঃ (গর্দভ + কন্)


এখানে দেখা যাচ্ছে, মূলত বিভিন্ন জীব-জন্তুর প্রতিকৃতির কথা বলা হচ্ছে৷ আর এসব প্রতিকৃতি অর্থে সেই প্রাণীর নামের সাথে কন্ প্রত্যয় হয়৷

• সংজ্ঞায়াং চ৷ (৫।৩।৯৭)
অনুবৃত্তিসহ অর্থ– [শুধু প্রতিকৃতি নয়] ইবে অর্থে বিদ্যমান সংজ্ঞা বিষয়েও কন্ প্রত্যয় হয়৷
যেমন– অশ্ব ইব (অশ্বের ন্যায়) = অশ্বকঃ (অশ্ব + কন্) প্রভৃতি৷ 


 


• লুম্মনুষ্যে৷ (৫।৩।৯৮)

অনুবৃত্তিসহ অর্থ– যদি মনুষ্য অভিধেয় হয়, তবে পূর্বসূত্রে উল্লিখিত বিষয়ে ইব অর্থে কন্ প্রত্যয়ের লুপ্ (লোপ) হয়৷
যেমন– চঞ্চা ইব মনুষ্যঃ = চঞ্চা (চঞ্চা + কন্ [লুপ্])
দাসী ইব মনুষ্যঃ = দাসী (দাসী + কন্ [লুপ্])
এই সূত্রে মূলত কন্ প্রত্যয় কোথায় লুপ্ হয় অর্থাৎ লোপ পায়, সেটিই বলা হলো৷ এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সূত্রেও কন্ প্রত্যয়ের লুপ্ (লোপ) নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে৷ আর পরের সূত্রে বর্তমান সূত্র থেকে লুপ্ ও মনুষ্য এই দুইটি পদেরও অনুবৃত্তি ঘটেছে৷ 



• জীবিকার্থে চাপণ্যে। (৫।৩।৯৯)

অনুবৃত্তিসহ অর্থ– জীবিকা উপার্জনের জন্য কিন্তু বিক্রয়ের জন্য নয়, এরূপ মনুষ্যের প্রতিকৃতি অভিধেয় হলে তার উত্তর কন্ প্রত্যয়ের লুপ্ (লোপ) হয়৷
যেমন– বাসুদেব + কন্ (লুপ্) = বাসুদেবঃ
শিব + কন্ (লুপ্) = শিবঃ প্রভৃতি৷ 



এই সূত্রগুলো পর্যালোচনা করলে স্পষ্ট হয় যে, এখানে মূলত দুই প্রকার প্রতিকৃতির কথা বলা হচ্ছে৷ যার এক প্রকার হলো প্রাণীর প্রতিকৃতি, সেগুলো বিক্রয় করা হতো৷ আর বিক্রয় করার যোগ্য প্রতিকৃতি অর্থে এদের উত্তর কন্ প্রত্যয় হবে৷ আবার আরেক প্রকার প্রতিকৃতি ছিল, যেগুলো হলো মানুষের প্রতিকৃতি৷ এগুলো বিক্রি করা হতো না, কিন্তু জীবিকার জন্য তৈরি করা হত (কোন জীবিকা তা একটু পরেই আলোচনা করা হবে)। এগুলোর উত্তর কন্ প্রত্যয়ের লুপ্ (লোপ) হবে। 


তাহলে আমরা এখানে দেখতে পাচ্ছি, পাণিনিসূত্রের অর্থ করলে এখানে এসব প্রতিকৃতির পূজার প্রসঙ্গ পাচ্ছি না৷ 


তাহলে প্রশ্ন হতে পারে, এখানে এসব মানুষের প্রতিকৃতি দিয়ে কী জীবিকা উপার্জন করা হত? এ প্রসঙ্গে এই (৫।৩।৯৯) সূত্রের কাশিকার পদমঞ্জরী টীকায় হরদত্ত বলেছেন– ❝জীবিকার্থে চাপণ্যে। বাসুদেবঃ, শিব ইত্যাদি। যাঃ প্রতিমাঃ প্রতিগৃহ্য গৃহাৎ গৃহং ভিক্ষমাণা অটন্তি তা এবমুচ্যন্তে, তা হি জীবিকার্থা ভবন্তি।❞

 

অর্থাৎ জীবিকার্থে চাপণ্যে। বাসুদেব, শিব ইত্যাদি। যে [বাসুদেব, শিব] প্রতিমা দ্বারা প্রতিগৃহে ভিক্ষার জন্য যাওয়া হয়, তা-ই হলো জীবিকার্থ।


অর্থাৎ এসব প্রতিকৃতি প্রদর্শন করে ভিক্ষা করা হত , বিক্রি না । এভাবেই এসব প্রতিকৃতি দ্বারা জীবিকা উপার্জন করা হত। 


দাবি– এগুলো সব মিথ্যা৷ এগুলো বানানো৷ বরং এই সূত্রের ব্যাখ্যায় সিদ্ধান্তকৌমুদীতে মূর্তির উদাহরণ হিসেবে বাসুদেব বা কৃষ্ণ, শিবঃ বা শিব ও স্কন্দঃ বা কার্তিকেয়র মূর্তির উল্লেখ আছে। আবার পতঞ্জলি এই সূত্রের মহাভাষ্যে বলেছেন,

"অপণ্য ইতি উচ্যতে। তত্রে দং ন সিধ্যতি শিবঃ স্কন্দঃ বিশাখ ইতি। কিং কারণম্? মৌর্যের্ হিরণ্যার্থিভির্ অর্চাঃ প্রকল্পিতাঃ। ভবেৎ তাসু ন স্যাৎ। যাস্ ত্বেতা সম্প্রতি পূজার্থাস্ তাসু ভবিষ্যতি।"
অর্থাৎ এই সকল মূর্তি বিক্রয় হত না, এগুলো অর্চনায় ব্যবহৃত হত।


সমাধান– মহাভাষ্য ও সিদ্ধান্তকৌমুদীতে মূলত একই ধরণের উদাহরণ দেওয়া আছে৷ এই সূত্রটির মহাভাষ্যের পূর্ণাঙ্গ অর্থ দেওয়া হলো–


❝অপণ্যে ইত্যুচ্যতে, তত্রেদং ন সিধ্যতি - শিবঃ, স্কন্দঃ, বিশাখ ইতি। কিং কারণম্? মৌর্যৈর্হিরণ্যার্থিভিরর্চাঃ প্রকল্পিতাঃ। ভবেত্তাসু ন স্যাৎ। যাস্ত্বেতাঃ সম্প্রতিপূজার্থাস্তাসু ভবিষ্যতি॥❞ 

অর্থাৎ 'অপণ্যে' বলা হয়েছে। এর দ্বারা এখানে [লুপ্] সিদ্ধ হয় না– শিবঃ, স্কন্দঃ, বিশাখ। কী কারণে? হিরণ্য ধনের লোভী মৌর্য অর্চা প্রকল্পিত করেছিল৷ ঠিক আছে, তাতে লুপ্ হয় না৷ যেসব মূর্তি সম্প্রতি পূজার জন্য, তাতে [লুপ্] হয়৷




এখানে মহাভাষ্যের 'মৌর্যৈর্হিরণ্যার্থিভিরর্চাঃ প্রকল্পিতাঃ' অংশটি প্রণিধানযোগ্য। এটির অর্থ হলো– হিরণ্য ধনের লোভী মৌর্য অর্চা প্রকল্পিত করেছিল৷ এখানে বোঝায় যাচ্ছে, মহাভাষ্যকার তৎকালীন সমাজে হিরণ্য ধন লোভী মৌর্য কর্তৃক এসব মহামানবের প্রতিকৃতিতে পূজার প্রচলন শুরু হয়ে যায়৷ বিষয়টি আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য মহাভাষ্যের ইতিহাস সম্পর্কিত এই লেখাটি পড়ে দেখা জরুরি– https://back2thevedas.blogspot.com/2023/04/blog-post_23.html

এখানে আবার প্রতিপক্ষ মহাভাষ্যের উদ্যোতটীকা দিয়ে দাবি করতে পারে, এই স্থলে মৌর্য অর্থ প্রতিমাশিল্পী। 

 


কিন্তু এক্ষেত্রে একটি বিষয় বিবেচ্য যে, প্রতিমাশিল্পী প্রতিমা তৈরি করে বিক্রির জন্য। প্রতিমা তৈরি করে মন্দিরে প্রদান করে, বিনিময়ে অর্থ লাভ করে । এটি বিক্রয়েরই নামান্তর। আর যে প্রতিকৃতি বিক্রির জন্য তৈরি করা হবে তার মধ্যে কন্ প্রত্যয় হবে৷ কিন্তু এই সূত্রটি অবিক্রয়যোগ্য প্রতিকৃতি বিষয়ে। আর যদি দুর্জনতোষণ ন্যায় অনুসারে মেনেও নেওয়া হয় যে, এখানে মৌর্য দ্বারা প্রতিমাশিল্পীকে বোঝায়, তবুও আমরা পূর্বের লিংকে প্রমাণ করে এসেছি যে, মহাভাষ্যের রচয়িতার সময় পাশ্চাত্য গবেষকদের মতে খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০ অব্দের দিকে ৷ মজার ব্যাপার হলো, আক্ষেপকারীগণও কিন্তু পতঞ্জলির সময় এটিই মানে৷ অপরদিকে, ভারতীয় পরম্পরায় অন্য গবেষকের মতে, মহাভাষ্যের এসব অংশ চন্দ্রাচার্যের লেখা৷ আর চন্দ্রাচার্য বুদ্ধ পরবর্তী ।

ভারতবর্ষে যে মূর্তিপূজার প্রচলন জৈন ও বুদ্ধ পরবর্তী সময়ে শুরু হয়েছিল এই বিষয়েও আচার্যগণ মতামত প্রদান করে গেছেন৷
মূর্তিপূজা ভারতবর্ষে কখন থেকে শুরু হয়েছে, এই বিষয়ে মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী তাঁর অমর গ্রন্থ "সত্যার্থপ্রকাশ" এর একাদশ সমুল্লাসে বলেছেন–


❝প্রশ্ন– মূর্তিপূজা কোথা থেকে প্রচলিত?
উত্তর– জৈনদের নিকট হতে৷❞

 

 

অর্থাৎ মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর সিদ্ধান্ত অনুসারে, ভারতবর্ষে মূর্তিপূজার প্রচলন করে জৈনরা৷ সেখান থেকে পৌরাণিকগণ মূর্তিপূজা আত্তীকরণ করে৷ 


প্রতিপক্ষ হয়ত মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর উপর্যুক্ত সিদ্ধান্ত মেনে নিতে চাইবে না৷ তাই তাদের জন্যই তাদের পরমপূজ্য স্বামী বিবেকানন্দের "বাণী ও রচনা" এর দ্বিতীয় খণ্ডের "জ্ঞানযোগ কথা" অংশ থেকে উদ্ধৃত করছি–


❝সাকারোপাসনা সম্বন্ধে বুদ্ধদেবের সতত বিরুদ্ধভাব হইতেই ভারতে মূর্তিপূজার সূত্রপাত হইয়াছে।❞


এখানে "দুর্জনতোষণ ন্যায়" অনুসারে আক্ষেপকারীর মান্য ও সপ্তর্ষির একজন বিবেকানন্দের উদ্ধৃতি দেওয়া হলো৷ বিবেকানন্দের উদ্ধৃতি থেকে দেখা যাচ্ছে, মূর্তিপূজার প্রচলন বুদ্ধদেবের পরবর্তীতে ভারতে সূত্রপাত হয়েছে৷ আর ইতিহাস অনুসারে, বুদ্ধদেব আর জৈন মহাবীর সমসাময়িক ছিলেন। তাই জৈন বা বৌদ্ধ এদের হাত ধরেই যে ভারতে মূর্তিপূজার প্রচলন হয়েছে, তা আশাকরি আক্ষেপকারী মেনে নিবে৷

আবার, আমরা যদি কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের দিকে দেখি, তবে সেখানেও দেখতে পাব, তৎকালীন সমাজে এসব প্রতিমা ব্যবহার করে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা হত৷ আর এই কৌটিল্য ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মন্ত্রী ! তাই মহাভাষ্যে যে তৎকালীন সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে তা বলাই বাহুল্য৷ অর্থশাস্ত্রে বলা হয়েছে–


❝কোনো প্রসিদ্ধ পুণ্যস্থানে ভূমি ভেদ করে দেবতা উঠেছেন বলে প্রচার করতে হবে। অথবা রাত্রিতে বা নির্জনে একটি দেবতা স্থাপন করে ও এই উপলক্ষে উৎসবাদি ও মেলা বসাতে হবে। শ্রদ্ধালু লােকের প্রদত্ত ধন দেবতাধ্যক্ষ গােপনে রাজাকে অৰ্পণ করবেন।
যারা অশ্রদ্ধালু, বেশি জিজ্ঞাসু, তাদেরকে ভােজন ও স্নানাদি-দ্রব্যে স্বল্পমাত্রায় বিষ প্রয়ােগ করে মেরে ফেলবে। তারপর এটি দেবতার অভিশাপ বলে প্রচার করবে।❞


(কৌটিল্য অর্থশাস্ত্র, ৫ম অধিকরণ, ২য় অধ্যায়, ৯০তম প্রকরণ)







তাই আশাকরি, সকলে বুঝতে পেরেছেন অষ্টাধ্যায়ীর উক্ত সূত্রসমূহের তাৎপর্য কী এবং মহাভাষ্যে কেন প্রতিমার উল্লেখ আছে৷ আর এই লেখা থেকে এটিও প্রমাণ হলো যে, সেই যুগেও যেভাবে প্রতিমার অপব্যবহার করে নিজের জীবিকা উপার্জনের চেষ্টা চালাতো, তেমনি এই যুগেও যেসব ভণ্ড বেদাদি সব শাস্ত্রে প্রতিমাপূজা খুঁজে পায়, তারাও মূলত সাধারণ হিন্দুদের কাছে এই প্রতিমাপূজার ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের পকেট ভরতে ও জীবিকা উপার্জনে ব্যস্ত রয়েছে।



  1. অনেক ভুলভাল অপপ্রচার করেছিস, বোকাচোদা, এখন তোরা আগে তোদের পেছন সামলা। দয়া দেখলাম তোদের পিছে সাপ, ব্যাঙ কি কি সব সেঁটে দিচ্ছে। আবার মরদ ছাগলের দুধ খাওয়াচ্ছে! ওরে, সব সাদা তরলই দুধ হয়না রে! মরদদের অন্য তরলও সাদা হয়। খাওয়ার আগে দেখে তো নে কি খাচ্ছিস!!

    ReplyDelete